মালদা

মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বোমাগুলি নিয়ে দুষ্কৃতিদের তান্ডব

নাম পঞ্চায়েত নির্বাচন, কথায় গণতন্ত্রের অধিকার, কিন্তু বাস্তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হল পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে দুষ্কৃতিদের একটি ছেলে খেলা। এমনই দৃশ্য হচ্ছে এখন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনের। যতই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্ম কর্তারা বড় বড় দাবী করুক না কেন, বর্তমানে ভোটার থেকে নির্বাচনে যুক্ত ভোট কর্মীদের যে কোন সুরক্ষা নেই তা তারা বেশ ভাল ভাবেই জানেন। তাইতো এদিন মালদা জেলার মতো জায়গাতেও নির্বাচনের দিন এমন ভাবে প্রকাশ্য রাস্তায়, বিভিন্ন বুথে বোমা গুলি নিয়ে দুষ্কৃতিরা হামলা চালায়। যার ভুক্ত ভোগী হলেন সাধারন মানুষ থেকে ভোটার সকলেই। 

    এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু হতেই মালদা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। সেই মতো এদিন জেলার কুমারগঞ্জ এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। অভিযোগ তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা ওই এলাকায় ভোটারদের ভয় দেখিয়ে নির্বাচন থেকে তাদের দুরে করে দেয়। ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠেছে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।

     পাশাপাশি মালদার কালিয়াচকের জালালপুরে 91 নম্বর বুথে কংগ্রেস-তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এখানেও মুড়িমুড়কির মতো 
ব্যাপক বোমা ফাটে। সেই সঙ্গে চলে গুলি বর্ষণ।

     এবারে মালদা মানিকচক ও রতুয়া এলাকাতে ওঠে বুথ দখল করার অভিযোগ। দুষ্কৃতিরা বুথ দখল করেছে। এলাকাতে চলছে ব্যাপক বোমাবাজি। চলছে জোড় কদমে ছাপ্পা ভোট। আতঙ্কিত সাধারন মানুষ। সাধারণ গ্রামবাসী ভোট দিতে পারছেনা। দেখা নেই পুলিশের। এলাকায় উত্তেজনা। সাংবাদিকরা এলাকার ছবি করতে গেলে দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রমনের শিকার হয়ে হয় সাংবাদিকদের।

মালদার কৃষ্ণনগরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। সেই সঙ্গে ব্যাপক বোমাবাজি ও গুলির লড়াই। আহত বেশ কয়েকজন

      উপরিউক্ত সমস্ত ঘটনায় লুন্ঠিত হয়েছে গণতন্ত্র। সাধারন মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন তার মতাধিকার থেকে। লঙ্ঘিত হয়েছে সংবিধানের মর্যাদা। ঘটনায় যারা অভিযুক্ত কিছুদিন পর তারাই মানুষদের বোঝাবে গণতন্ত্রের আধিকার। কিন্তু এত গুলো ঘটনায় যারা মুল অভিযুক্ত, যারা প্রকাশ্য দিবালোকে গণতন্ত্রের মজা উড়াল তারা আদৌ আইনত শাস্তি পাবে কি ? প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু উত্তর অজানা।

বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে

https://www.youtube.com/embed/gOWs5YBNmR0